মালয়েশিয়া কাজের ভিসা কবে খুলবে?

মালয়েশিয়া কাজের ভিসা কবে খুলবে?

মালয়েশিয়া যেতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হয়। এরপর, ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে ভিসা আবেদন করে হয়। ভিসা পেয়ে গেলে সহজেই মালয়েশিয়া যাওয়া যায়। তবে মালয়েশিয়া যেতে চাইলে ভিসা খোলা থাকতে হবে। নাহলে আবেদন করতে পারবেন না।

অর্থাৎ, মালয়েশিয়া থেকে যদি ওয়ার্ক পারমিট দেয়া বন্ধ থাকে, তাহলে ভিসা আবেদন করা যাবেনা এবং মালয়েশিয়া যাওয়া যাবেনা। তাই, মালয়েশিয়ার কাজের ভিসা খোলা আছে কিনা জানা আবশ্যক।

এই পোস্টে, মালয়েশিয়া কাজের ভিসা কবে খুলবে এবং মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করা হয়েছে। চলুন, জেনে নেয়া যাক।

মালয়েশিয়া কাজের ভিসা কবে খুলবে

বর্তমানে মালয়েশিয়া কাজের ভিসা খোলা আছে। আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে মালয়েশিয়া যেতে চান, তাহলে শুরুতেই ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করুন। ওয়ার্ক পারমিট পেতে হলে সঠিকভাবে আবেদন করতে হবে। এজন্য, সরকারিভাবে কিংবা বেসরকারিভাবে ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করতে পারবেন।

ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেলে ভিসা আবেদন করার মাধ্যমে ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া যেতে পারবেন। যেহেতু মালয়েশিয়ার ভিসা চালু আছে, তাই আপনি এখন ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করলে ওয়ার্ক পারমিট পেতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হবেনা।

কিছুদিন আগেও মালয়েশিয়ার কাজের ভিসা বন্ধ ছিলো। অর্থাৎ, মালয়েশিয়া থেকে নতুন করে কোনো ওয়ার্ক পারমিট দেয়া হচ্ছিলো না। একারণে, আমাদের দেশের অনেকেই মালয়েশিয়া যেতে চেয়েও ওয়ার্ক পারমিট না পাওয়ার কারণে ভিসা আবেদন করতে পারেননি।

এখন আমি প্রবাসী অ্যাপ/বিএমইটি/বোয়েসেল এর মাধ্যমে মালয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, আপনি যে কাজের জন্য আবেদন করছেন, উক্ত কাজে যদি পূর্বের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা না থাকে, তাহলে ওয়ার্ক পারমিট প্রদান করা হবেনা। তাই, দক্ষতা আছে এমন কাজের জন্য আবেদন করুন।

মালয়েশিয়া শ্রমিক নিয়োগ ২০২৫

এই বছর নতুন করে মালয়েশিয়া সরকার শ্রমিক নিয়োগ দেয়া শুরু করেছে। বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক নেয়া হচ্ছে। যারা মালয়েশিয়া কাজের ভিসায় যেতে ইচ্ছুক, তারা কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, সকল কাজের জন্য এখনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি।

আমি প্রবাসী অ্যাপ কিংবা বিএমইটিতে রেজিস্ট্রেশন করে কী কী কাজের জন্য বিজ্ঞাপন প্রদান করা হয়েছে সেগুলো দেখুন। এরপর, আপনি যে কাজের জন্য মালয়েশিয়া যেতে চান, যে কাজে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা আছে, উক্ত কাজের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করুন।

আবেদন করার পর তারা যাচাই-বাছাই করে দেখে নিয়োগ প্রদান করবে। যদি ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে যান, তাহলে উক্ত ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে মালয়েশিয়া কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এরপর, ভিসা পেলেই মালয়েশিয়া পাড়ি জমাতে পারবেন।

মালয়েশিয়া কলিং ভিসা কবে চালু হবে 2025

মালয়েশিয়া কলিং ভিসা বর্তমানে চালু আছে। যারা কলিং ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক, তারা ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করার মাধ্যমে কলিং ভিসা করতে পারবেন। শুরুতেই AMI PROBASI অ্যাপ কিংবা BMET তে রেজিস্ট্রেশন করুন। এরপর, কী কাজের জন্য মালয়েশিয়া যেতে চান তা সিলেক্ট করুন।

মালয়েশিয়ার যেসব কাজের জন্য কলিং ভিসা অফার করা হচ্ছে, সেগুলোর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখতে পারবেন। এরপর, আপনার যথাযথ কাগজপত্র দিয়ে কলিং ভিসার ওয়ার্ক পারমিট পেতে আবেদন করুন। সরকারিভাবে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করলে অল্প খরচেই ভিসা পেয়ে যাবেন।

কলিং ভিসা চালু থাকার কারণে যাদের আগের ভিসা আটকে ছিলো, তারা মালয়েশিয়া যেতে পারবেন। নতুন করে প্লাম্বিং/কন্সট্রাকশন/রাজমিস্ত্রি/রংমিস্ত্রি/ড্রাইভার ইত্যাদি কাজের জন্য মালয়েশিয়া যেতে চাইলে কলিং ভিসার আবেদন করতে পারবেন। মালয়েশিয়া হাইকমিশন থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কলিং ভিসা চালু করা হয়েছে।

মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে আজকের খবর

মালয়েশিয়া ভিসা বেশ কয়েক মাস আগেই খুলেছে। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হওয়ার পর থেকে মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেয়া বন্ধ রেখেছিলো। কিন্তু, বর্তমানে আবারও নতুন করে মালয়েশিয়ার ভিসা চালু করা হয়েছে। আজকের খবর অনুযায়ী বর্তমানে Malaysia Work Permit Visa চালু আছে।

টাকা উপার্জন করার উদ্দেশ্যে যদি মালয়েশিয়া যেতে চান, তাহলে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করুন। ওয়ার্ক পারমিট সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে ভিসা আবেদন করুন। এরপর, সরকারিভাবে অল্প খরচেই মালয়েশিয়া যেতে পারবেন এবং কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কী কী কাগজপত্র লাগবে তা নিচে আলোচনা করা হয়েছে।

মালয়েশিয়া ভিসা বন্ধ ২০২৫

দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বন্ধ ছিলো। তবে, ট্রাভেল ভিসা চালু ছিলো। তাই, যারা কাজের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া যেতে চাচ্ছিলেন, তারা ওয়ার্ক পারমিট না থাকার কারণে ভিসা আবেদন করতে পারছিলেন না।

কিন্তু, আবারও নতুন করে মালয়েশিয়ার সব ধরনের ভিসা চালু করা হয়েছে। মালয়েশিয়া থেকে স্বল্প পরিমাণে লোকবল নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। তাই, এখন আমি প্রবাসী অ্যাপ/বিএমইটি থেকে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

মালয়েশিয়া যেতে কি কি লাগে

মালয়েশিয়া যেতে চাইলে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য শুরুতেই আবেদন করতে হয়। ওয়ার্ক পারমিট পেতে পাসপোর্ট, ভোটার আইডি কার্ড, ছবি সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে হয়। এরপর, ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেলে ভিসা আবেদন করতেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়।

মালয়েশিয়া যেতে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করা থেকে শুরু করে ভিসা আবেদন করা অব্দি যেসব কাগজপত্র লাগে সেগুলোর একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।

  • বৈধ পাসপোর্ট (কাজের মেয়াদের সমপরিমাণ মেয়াদসহ)
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
  • ভোটার আইডি কার্ড
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • ওয়ার্ক পারমিট
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট (যদি লাগে)
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট
  • বিমানের টিকেট
  • নাগরিক সনদপত্র
  • ইউটিলিটি বিলের কপি (যদি লাগে)
  • পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড
  • স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ড (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

উপরোক্ত তালিকায় উল্লিখিত এই কাগজপত্রগুলোর কিছু কিছু প্রযোজ্য ক্ষেত্রে লাগতে পারে। সবগুলো লাগবে এমনটা না। আপনার যেসব কাগজপত্র আছে, সেগুলো রেডি করে রাখুন।

মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে

সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যেতে ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা লাগে। তবে, বেসরকারিভাবে মালয়েশিয়া যেতে চাইলে ৪-৫ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। কারণ, বেসরকারিভাবে যেতে চাইলে ভিসা প্রসেসিং সেন্টারের খরচ সহ আরও অনেক খরচ লাগতে পারে।

আপনি নিজে যদি আমি প্রবাসী অ্যাপ/বিএমইটি থেকে ভিসা আবেদন করেন, তাহলে খরচ অনেকটাই কমে আসবে। সরকারিভাবে বিভিন্ন নিয়োগ প্রকাশ করা হয়, এসময় ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করলে অনেক কম খরচেই বিদেশ যাওয়া যায়। তবে, বিমানের টিকেটের দামটা অনেক বেশি লাগে।

কিন্তু, চিন্তার কোনো কারণ নেই। বিমানের টিকেটের দাম কমিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে, যারা মালয়েশিয়া সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যেতে চান, তারা অল্প খরচেই ভিসা আবেদন করতে এবং যেতে পারবেন।

মালয়েশিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি

মালয়েশিয়াতে ড্রাইভিং/প্লাম্বিং/রাজমিস্ত্রি/রংমিস্ত্রি/কন্সট্রাকশন/শ্রমিক/কৃষক ইত্যাদি কাজের চাহিদা অনেক বেশি। যদি এসব কাজের যেকোনো একটিতে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে এসব কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করতে পারবেন। এসব কাজ করে অনেকেই প্রতি মাসে অনেক ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করে থাকেন।

তবে, যেকোনো কাজের জন্যই মালয়েশিয়াতে চাহিদা বেশি, যদি আপনার দক্ষতা থাকে। দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকলে যেকোনো কাজ করেই ভালো বেতন পাওয়া যায়। যে কাজে দক্ষতা আছে, সেই কাজের জন্য ভিসা আবেদন করুন।

শেষ কথা

মালয়েশিয়া কাজের ভিসা কবে খুলবে, কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে কী কী লাগবে, মালয়েশিয়াতে কোন কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি, মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং মালয়েশিয়া কলিং ভিসা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন এই পোস্টে। মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক হলে পোস্টে উল্লিখিত তথ্যগুলো আপনার কাজে আসবে বলে আশা করছি। 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *